প্রাণী পালনের মাধ‍্যমে গ্ৰামীণ অর্থনৈতিক বিকাশে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ‍্যোগ

1st December 2020 11:22 am বর্ধমান
প্রাণী পালনের মাধ‍্যমে গ্ৰামীণ অর্থনৈতিক বিকাশে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ‍্যোগ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কাটোয়া ) :   কাটোয়া-২ ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির ব্যবস্থাপনায় শিঙ্গি, শ্রীবাটী ও গাজীপুর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের উদ্যোগে ও সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় মোট ১৪৫ জন উপভোক্তাদের প্রত্যেককে ১০ টি করে মোট ১৪৫০ টি উন্নত মানের ২৮ দিন বয়সের অধিক ডিম উৎপাদনকারী খাকী ক্যাম্পবেল হাঁসের বাচ্চা প্রদান করা হয় । বিজ্ঞান সম্মত ভাবে খাকী ক্যাম্পবেল হাঁস পালনের লক্ষ্যে উপভোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । হাঁস গুলির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়। এই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত বিতরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন  কাটোয়া ২ নং ব্লকের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক ডাঃ জয়কিংকর মান্না, কাটোয়া ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ কোরবান মিদ্দা, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হান্নাত আলি শেখ, তাপসী পাল, গাজীপুর  গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য জয়া সরকার মজুমদার সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পর্যায়ের জন প্রতিনিধি, দপ্তরের কর্মীবৃন্দ ও ব্লকের প্রাণীবন্ধু ও প্রাণীমিত্রারা । এ উপলক্ষ্যে গ্রামবাসীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো ।  কাটোয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কোরবান মিদ্দা আশা প্রকাশ করেন যে, এধরনের উন্নত জাতের হাঁসের বাচ্চা সঠিকভাবে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ মতো পালন করলে উপভোক্তাদের নিজ নিজ পরিবারের ডিমের চাহিদা সহজেই মিটতে পারে এবং স্থানীয় অঞ্চলে ডিমের ঘাটতি অনেকটাই মিটবে। প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক ডাঃ জয়কিংকর মান্না উপভোক্তাদের প্রাণী পালনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক ব্যবস্থা ও পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতা গ্রহণে প্রাণী পালকদের সচেতন করেন । উপভোক্তাদের হাঁসের সাধারণ রোগ এবং তার প্রতিষেধক টীকা প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন এবং জানান যে, আবার একমাস পরে এই হাঁস গুলির টীকা দিতে দফতরের প্রাণীমিত্রারা বাড়ি বাড়ি যাবেন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পরামর্শ দেবেন । গ্রামের সাধারণ মানুষ ১০টি করে খাকী ক্যাম্পবেল হাঁসের বাচ্চা, বিজ্ঞান সম্মত ভাবে হাঁস পালনের পুস্তিকা ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী পেয়ে খুব খুশী । ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবছর কাটোয়া ২ ব্লকে মোট ২৪৫০০ টি উন্নতমানের মুরগি ও ১৪৫০ টি হাঁস বিতরণ করা হবে ।  উপস্থিত উপভোক্তারা ব্লক প্রশাসনের গ্রামে এসে এই ধরনের জনমুখী কর্মসূচি সঠিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।